ডংয়ের পায়ে লোহার জুতো, গ্লেন-র্যান্টিদের পায়ে গোল
জুত হচ্ছে না কোনও জুতোই। তাই এ বার লোহার জুতোয় পা মুড়ে মাঠে ডু ডং! বৃহস্পতিবার সকালে ইস্টবেঙ্গল প্র্যাকটিসে গিয়ে দেখা গেল, অদ্ভুত ধরনের দেখতে এক লোহার জুতো পায়ে গলিয়েই লাফালাফি করছেন লাল-হলুদের মহাতারকা দক্ষিণ কোরিয়ান মিডিও। কারণ কী? রহস্য উন্মোচন করলেন ডংয়ের কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য। ‘‘ওর চোট পুরোপুরি সারানোর জন্যই বিশেষ ধরনের এই ‘আয়রন সু’ আমি আনিয়েছি। এই জুতো পরে প্র্যাকটিস করাচ্ছি ওর পায়ের জোর বাড়ানোর জন্য।’’ বিশেষ ধরনের জুতো পরার অভিজ্ঞতা ডংয়ের কাছে জানতে চাইলে লাজুক হেসে বললেন, ‘‘জুতোটা খুব ভারী। তবে মজারও। আই লিগে ভাল খেলতে এই জুতোই আমাকে সাহায্য করবে বলে মনে হচ্ছে। কোচের নির্দেশ মতোই এই জুতো পরে ট্রেনিং করছি, যাতে পায়ের জোর পুরো ফিরে আসে। খুব শিগগিরই আমি টিমের সঙ্গে মূল প্র্যাকটিসে যোগ দিতে পারব আশা করছি।’’ যে বাইক দুর্ঘটনার পর বিশ্বজিতের নিজের ফুটবলার জীবন শেষ হয়ে গিয়েছিল, সেই সময় পায়ের জোর ফেরাতে এ রকম ‘আয়রন শু’ পরেই বিশেষ ট্রেনিং করতেন তিনি। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েই ডংকেও এ ধরনের জুতো পরিয়ে বিশেষ ট্রেনিং করাচ্ছেন তিনি। লক্ষ্য একটাই। কলকাতা লিগের মতোই যেন বিধ্বংসী ফর্মে পাওয়া যায় ডংকে। ডং যখন লোহার জুতো পরে মাঠের বাইরে নিজেকে ফিট করে তুলতে ব্যস্ত, তখন মাঠের ভিতর র্যান্টি মার্টিন্স ভবানীপুরের বিরুদ্ধে প্র্যাকটিস ম্যাচে নিজের সেরাটা দেওয়ার জন্য ছটফট করলেন এ দিন। তিনি পুরো ফিট নন, তাঁর পারফরম্যান্সও তলানিতে— কলকাতা লিগ থেকেই এ ধরনের অভিযোগ বারবার উঠছে নাইজিরিয়ান স্ট্রাইকারের বিরুদ্ধে। কিন্তু এ দিন তাঁর করা অসাধারণ গোল আবার স্বস্তিতে ফেরাতে পারে লাল-হলুদ সমর্থকদের। বিশ্বজিৎও এ দিন স্বীকার করে নিয়েছেন, ‘‘র্যান্টি আগের চেয়ে অনেক উন্নতি করেছে। ওর আজ গোলটাও অসাধারণ। আশা করছি, আই লিগের আগেই ও নিজের পুরনো ফর্মে ফিরে আসবে।’’ ইস্টবেঙ্গল যখন ভবানীপুরের বিরুদ্ধে ২-১ জয় পেল, তখন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় দলের বিরুদ্ধে কর্নেল গ্লেনের একমাত্র গোলে জিতল মোহনবাগান। তবে টিমের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট নন সঞ্জয় সেন। ম্যাচের পর বাগান কোচ পরিষ্কার বলে দেন, ‘‘এ দিন আমার টিম মোটেও ভাল পারফরম্যান্স করতে পারেনি। সবে কুড়ি শতাংশ খেলেছে ওরা। সব জায়গায় এখনও অনেক উন্নতি করতে হবে। গ্লেন গোল করলেও এখনও পুরো ফিট নয়। ওকে ওজন কমাতে হবে।’’ টিমের পারফরম্যান্সের পাশাপাশি দুই প্রধানের কোচকে চিন্তায় রেখেছে আইএসএলে খেলতে যাওয়া প্লেয়াররা। আইএসএলের পর তাঁদের কতটা সুস্থ অবস্থায় পাওয়া যাবে? যাঁরা সেখানে টিমে সুযোগ পাচ্ছেন না, মানসিক ভাবে কতটা চাঙ্গা থাকবেন— এই প্রশ্নগুলোই এখন ভাবাচ্ছে সঞ্জয় এবং বিশ্বজিৎকে। ইস্টবেঙ্গলে এই মুহূর্তে ১৪ জন আর মোহনবাগান ১৭ জন ফুটবলার নিয়ে প্র্যাকটিস করছে। য়াঁদের মধ্যে র্যান্টি, ডং, কাতসুমি, গ্লেনদের মতো কয়েক জনকে বাদ দিলে, বাকিরা ম্যাচে রিজার্ভ বেঞ্চেও সব সময় বসার সুযোগ পাবেন কিনা সন্দেহ! আই লিগ শুরু হতে আর মাসখানেক বাকি। কিন্তু দু’প্রধানের প্র্যাকটিসে ফাঁক থেকেই যাচ্ছে।
@Soham_De And who the hell will translate that mate? We all who can read Bengali get this same pics in FB group before you copy and paste it here. Either post translations or just a summary of whatever you have read.
While a section of the media (Newstime) have revealed that if everything goes according to plan, Leo Moura is going to be the fourth foreigner of the I-League,though the coach and officials have not formally disclosed it, another section (anandabazar) have said that the confusion over the fourth foreigner still remains, with the meeting in which this issue was to have been sorted out being cancelled. Wonder what's cooking?
Comments
ডংয়ের পায়ে লোহার জুতো, গ্লেন-র্যান্টিদের পায়ে গোল
জুত হচ্ছে না কোনও জুতোই। তাই এ বার লোহার জুতোয় পা মুড়ে মাঠে ডু ডং!
বৃহস্পতিবার সকালে ইস্টবেঙ্গল প্র্যাকটিসে গিয়ে দেখা গেল, অদ্ভুত ধরনের দেখতে এক লোহার জুতো পায়ে গলিয়েই লাফালাফি করছেন লাল-হলুদের মহাতারকা দক্ষিণ কোরিয়ান মিডিও। কারণ কী?
রহস্য উন্মোচন করলেন ডংয়ের কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য। ‘‘ওর চোট পুরোপুরি সারানোর জন্যই বিশেষ ধরনের এই ‘আয়রন সু’ আমি আনিয়েছি। এই জুতো পরে প্র্যাকটিস করাচ্ছি ওর পায়ের জোর বাড়ানোর জন্য।’’
বিশেষ ধরনের জুতো পরার অভিজ্ঞতা ডংয়ের কাছে জানতে চাইলে লাজুক হেসে বললেন, ‘‘জুতোটা খুব ভারী। তবে মজারও। আই লিগে ভাল খেলতে এই জুতোই আমাকে সাহায্য করবে বলে মনে হচ্ছে। কোচের নির্দেশ মতোই এই জুতো পরে ট্রেনিং করছি, যাতে পায়ের জোর পুরো ফিরে আসে। খুব শিগগিরই আমি টিমের সঙ্গে মূল প্র্যাকটিসে যোগ দিতে পারব আশা করছি।’’
যে বাইক দুর্ঘটনার পর বিশ্বজিতের নিজের ফুটবলার জীবন শেষ হয়ে গিয়েছিল, সেই সময় পায়ের জোর ফেরাতে এ রকম ‘আয়রন শু’ পরেই বিশেষ ট্রেনিং করতেন তিনি। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েই ডংকেও এ ধরনের জুতো পরিয়ে বিশেষ ট্রেনিং করাচ্ছেন তিনি। লক্ষ্য একটাই। কলকাতা লিগের মতোই যেন বিধ্বংসী ফর্মে পাওয়া যায় ডংকে।
ডং যখন লোহার জুতো পরে মাঠের বাইরে নিজেকে ফিট করে তুলতে ব্যস্ত, তখন মাঠের ভিতর র্যান্টি মার্টিন্স ভবানীপুরের বিরুদ্ধে প্র্যাকটিস ম্যাচে নিজের সেরাটা দেওয়ার জন্য ছটফট করলেন এ দিন। তিনি পুরো ফিট নন, তাঁর পারফরম্যান্সও তলানিতে— কলকাতা লিগ থেকেই এ ধরনের অভিযোগ বারবার উঠছে নাইজিরিয়ান স্ট্রাইকারের বিরুদ্ধে। কিন্তু এ দিন তাঁর করা অসাধারণ গোল আবার স্বস্তিতে ফেরাতে পারে লাল-হলুদ সমর্থকদের। বিশ্বজিৎও এ দিন স্বীকার করে নিয়েছেন, ‘‘র্যান্টি আগের চেয়ে অনেক উন্নতি করেছে। ওর আজ গোলটাও অসাধারণ। আশা করছি, আই লিগের আগেই ও নিজের পুরনো ফর্মে ফিরে আসবে।’’
ইস্টবেঙ্গল যখন ভবানীপুরের বিরুদ্ধে ২-১ জয় পেল, তখন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় দলের বিরুদ্ধে কর্নেল গ্লেনের একমাত্র গোলে জিতল মোহনবাগান। তবে টিমের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট নন সঞ্জয় সেন। ম্যাচের পর বাগান কোচ পরিষ্কার বলে দেন, ‘‘এ দিন আমার টিম মোটেও ভাল পারফরম্যান্স করতে পারেনি। সবে কুড়ি শতাংশ খেলেছে ওরা। সব জায়গায় এখনও অনেক উন্নতি করতে হবে। গ্লেন গোল করলেও এখনও পুরো ফিট নয়। ওকে ওজন কমাতে হবে।’’
টিমের পারফরম্যান্সের পাশাপাশি দুই প্রধানের কোচকে চিন্তায় রেখেছে আইএসএলে খেলতে যাওয়া প্লেয়াররা। আইএসএলের পর তাঁদের কতটা সুস্থ অবস্থায় পাওয়া যাবে? যাঁরা সেখানে টিমে সুযোগ পাচ্ছেন না, মানসিক ভাবে কতটা চাঙ্গা থাকবেন— এই প্রশ্নগুলোই এখন ভাবাচ্ছে সঞ্জয় এবং বিশ্বজিৎকে। ইস্টবেঙ্গলে এই মুহূর্তে ১৪ জন আর মোহনবাগান ১৭ জন ফুটবলার নিয়ে প্র্যাকটিস করছে। য়াঁদের মধ্যে র্যান্টি, ডং, কাতসুমি, গ্লেনদের মতো কয়েক জনকে বাদ দিলে, বাকিরা ম্যাচে রিজার্ভ বেঞ্চেও সব সময় বসার সুযোগ পাবেন কিনা সন্দেহ! আই লিগ শুরু হতে আর মাসখানেক বাকি। কিন্তু দু’প্রধানের প্র্যাকটিসে ফাঁক থেকেই যাচ্ছে।